ভারতে বাংলাদেশি নায়িকাদের জনপ্রিয়তা বেশি
শাহনেওয়াজ এলাহি,
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি।।
আশ্বিন মাস প্রায় শেষ যেখানে শীত পড়ার কথা সেখানে গরমে পুড়ছে মানুষ। এর মাঝে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পল্লী বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং। তীব্র গরম ও লোডশেডিংয়ে কমলগঞ্জ উপজেলার মানুষ কষ্টে জীবন-যাপন করছেন।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় জোনাল অফিসের অধীনস্থ লক্ষাধিক গ্রাহক, চা কারখানা ও বিভিন্ন ফ্যাক্টরী সমুহ প্রতিদিন চার, পাঁচ ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। সকাল, দুপুর, বিকেল, সন্ধ্যা, রাত ১টা ও ভোর রাতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ঘন্টা দুই এক পর আসে। এভাবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলছে লোডশেডিং। উপজেলার অনেক এলাকায় ভোর বেলায় বিদ্যুৎ থাকে না। সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ এলেও কিছুক্ষণ পর আবার চলে যাওয়ায় অতিষ্ঠ বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ী ও স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের অবিভাবক। এছাড়াও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ বিভিন্ন এলাকার মানুষ।
উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের শাহিদ আলী বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের ফলে আমরা অনেক কষ্টে জীবন জাপান করছি। সারাদিন কাজ করার পর বাড়িতে গেলে বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করে। প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকেনা।
উপজেলার শমশেরনগরের আমির আলী বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের ফলে আমাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আমার মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী যারা আছেন সন্ধ্যার পরে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার সাথে সাথে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে আসতে হয়। কারণ অতিরিক্ত গরমে বাজারে মানুষ আসেনা।
উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষার্থীর অবিভাবকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ না থাকায় আমাদের বাচ্চাদের লেখা পড়ায় মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এমনিতেই করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় মনযোগ নেই তার উপর পল্লী বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম গোলাম ফারুক মীর বলেন যে, সিলেট বিভাগীয় অফিসে একটি পাওয়ার স্টেশন নষ্ট হওয়ার কারণে এই সমস্যা হচ্ছে। দুই একদিনের মধ্যে সমস্যা সমাধান হবে।