কমলগঞ্জ প্রতিনিধি।।
কমলগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারীর হামলায় যুবলীগ নেতা আহত
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার কুরমা চা-বাগানে মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগের ১৪ ঘণ্টা পর অভিযুক্ত আসামি ধরম পাশীকে তেলিয়াপাড়া থেকে আটক করেছে কমলগঞ্জ থানার পুলিশ। আটক ধরমপাশীকে মৌলভীবাজার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
শ্রীমঙ্গলে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ
জানা যায় যে, গত রোববার (১২ই সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা চা-বাগানের মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী এক কিশোরীর (১৫) ঘরে প্রবেশ করে চকলেটের লোভ দেখিয়ে তাকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যান একই এলাকার বাসিন্দা ধরম পাশী (৩০)। পরে ধলাই নদীর পাড়ে তিনি কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। ঘটনার পর ধরম পাশী আত্মগোপন করেন।
স্বামীকে হত্যা করে প্রেমিকের সঙ্গে একই ঘরে
এ ঘটনায় নির্যাতিতা কিশোরীর ভাই কার্তিক কর্মকার গতকাল বুধবার (১৫ই সেপ্টেম্বর) দুপুরে ধরম পাশীকে আসামি করে কমলগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ আসামিকে আটকের জন্য তৎপরতা শুরু করে।
বিশেষ সংবাদের ভিত্তিতে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়ারদৌস হাসানের নির্দেশে কমলগঞ্জ থানার এসআই হারুনের নেতৃত্বে এসআই মহাদেব বাছার, এএসআই সিরাজুল ইসলাম ও এএসআই পরিমল তেলিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার (১৬ই সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার তেলিয়াপাড়া চা-বাগান থেকে ধরম পাশীর বোনের বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। এবিষয়ে কমলগঞ্জ থানার এসআই হারুন জনান যে, আটকের পর তাকে কমলগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়।
পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।