মোঃ মহিউদ্দিন খাঁন,কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি।।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার পর নিজ বাড়ির উঠানে ৩৬ দিন লাশ পুতে রেখেছিল তার স্বামী। আজ ২৮শে জুলাই বুধবার সকালে ঘাতক স্বামীকে আটক করে জনতা পরে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উঠানের মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি আটক ঘাতককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
বিষয়টি জানাযায় যে, উপজেলার মাধবপুর ইউপির পাত্রখোলা চা বাগানের পশ্চিম লাইনের সুবাস বাউরির স্ত্রী ১ ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তানের জননী সুচিত্রা শব্দকর দীর্ঘদিন ধরে বাগানেই বসবাস করছিলেন। স্বামীর সংসারে থেকেই সুচিত্র শব্দকর সংসারের চালানোর দায়ে চা বাগানের বাজারের পরিছন্নতাকর্মী হিসাবে কাজ করতো। বাজারবাসী দীর্ঘ একমাস ধরে সুচিত্রা কাজে না যাওয়ার কারন জানতে চাইলে সুবাস বাউরি বলেন যে,সে হারিয়ে গেছে। এদিকে তাদের পরিবারে নিয়মিত পারিবারিক কলহ চলছিলো। পারিবারিক কলহের জেরে ধরে চলতি বছরের ২২শে জুন ঘাতক স্বামী সুবাস তার স্ত্রী সুচিত্রা শব্দকরকে মেরে বাড়ী উঠানে মাটির নিচে পুতে রেখেছিলেন। অপরদিকে সুচিত্রার মেয়ে সীমা শব্দকর তিলকপুরস্থ গ্রামের স্বামীর বাড়ী থেকে মাধবপুরস্থ পিতার বাড়ীতে যায় আজ (বুধবার) সকালে।
সীমা তার পিতার কাছে মা(সুচিত্র শব্দকর) কোথায় জানতে চাইলে বলেন যে, আমি তর মাকে কুঁড়ালের হাতল দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলেছি। মারার পর লাশটি বাড়ির উঠানে পুঁতে রেখেছি। মেয়ে সীমা শব্দকর এই কথা শুনেই তার মা হারিয়ে যায়নি তার মাকে বাবাই মেরে ফেলেছে বলে চিৎকার চেচাঁমেছি করতে শুরু করে।
শ্রীমঙ্গলে শরীফ হত্যার ঘটনায় ঘাতক বন্ধু সজিব গ্রেপ্তার
মুহুর্তের মধ্যেই ঘটনাটি বাগান এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন ঘাতক স্বামী সুবাস বাউরিকে পাত্রখোলা জামে মসজিদ এলাকা থেকে আটক করে গাছে বেঁধে রাখে।
বলিউড কাঁপানো অসংখ্য নায়িকা ভারতে জন্ম নয়
প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে সুবাস স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করলে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল এএসপি (সার্কেল) শহীদুল হক মুন্সির নেতৃত্বে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়ারদৌস হাসান,পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাসহ পুলিশের একটি দল দুপুর ১টা বাড়ীর উঠানের মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ লাশের সুরতহাল রির্পোট তৈরী করে ময়না তদেন্তর জন্য মৌলভীবাজার মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘাতক স্বামীকে কমলগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়ারদৌস হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন যে,প্রাথমিক জিঞ্জসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। লাশের ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। মেয়ে বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।