আমিনুল ইসলাম (হিমেল) বার্তা সম্পদক,
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি।।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসায় অবহেলায় সুমী বেগম (২৪) নামের এক গৃহবধূ মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁর মৃত্যুতে তাঁর দুগ্ধপোষ্য ১০ মাসের শিশুটি অবিরত কান্না করছিল।
এতে হাসপাতালে উপস্থিত তাঁর স্বজন ও অন্যদের চোখের কোণ ভিজে ওঠে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে। সুমী ধর্মপুর গ্রামের মন্নান মিয়ার মেয়ে এবং মৌলভীবাজারের সরকারবাজার এলাকার এমরান মিয়ার স্ত্রী। চিকিৎসা অবহেলার বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।মৌলভীবাজারে একযোগে মোবাইল কোর্টে ১৮৯ জন ব্যক্তিকে অর্থদন্ড
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সাজেদুল কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন যে, এ ঘটনায় যদি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কেউ দায়ী থাকে তবে তদন্তক্রমে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কমলগঞ্জে চাবাগানে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, গত বুধবার দুপুরে সুমীর প্রচণ্ড পেটের ব্যথা দেখা দিলে তাঁকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান স্বজনরা।
গতকাল সকালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে সাধারণ মহিলা ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটে। তখন সুমীর মা ও বাবা দায়িত্বরত ডাক্তার ও নার্সদের কাছে বারবার কিছু একটা করতে বলেন। কিন্তু তাঁদের কথা শোনেননি ডাক্তার-নার্সরা।
সিলেটের গোলাপগঞ্জে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন
দুপুর ১২টার দিকে সুমীকে সিনিয়র নার্স অনিতা সিনহা ও ধাত্রী রত্না মণ্ডল একটি ইঞ্জেকশন দেন। এর পর থেকে আর তিনি নড়াচড়া করেননি। পরে ডাক্তার এসে মৃত ঘোষণা করেন। রাহেনা বেগম অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়ের মৃত্যুর জন্য ডিউটি ডাক্তার ও নার্সরাই দায়ী।
তবে ডিউটি ডাঃ মুন্না সিনহা ও ধাত্রী রত্না মণ্ডল দাবি করেন, তাঁরা চিকিৎসার কোনো ত্রুটি করেননি।
বলিউড কাঁপানো অসংখ্য নায়িকা ভারতে জন্ম নয়
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহবুবুল আলম ভূইয়া বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। মেডিক্যাল বোর্ড বসিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।