নিজস্ব প্রতিবেদন।। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বোরোধানের ফলন ভাল হলেও শঙ্কা দেখা দিয়েছে আউশ ধানের উৎপাদন নিয়ে। যেহেতু আউশ ধানের আবাদ বৃষ্টি নির্ভর, তাই পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকরা রয়েছেন ক্ষতির আশঙ্কায়। গ্রীষ্মকালের শেষদিকেও অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের ফলে তীব্র খরা দেখা দিয়েছে। ফলে আউশ চাষাবাদ ব্যহত হচ্ছে।
চলতি মৌসুমে উপজেলার অধিকাংশ আউশ জমিতে কৃষকরা বৈশাখ মাসের শুরুতে বীজ বপন করে থাকেন এবং জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম সপ্তাহে চারা রোপণ করে থাকেন। এবছর বৃষ্টিপাত কম হওয়াতে বীজ বপনে ব্যহত হচ্ছে আবার অনেক কৃষক সেচের মাধ্যমে কোনরকম বীজ বপন করলেও চারা রোপণের জন্য জমিতে চাষ দেওয়ার ব্যহত হচ্ছে ।
কৃষকরা বলেন যে, জ্যৈষ্ঠ মাসের ১৬ দিন পেরিয়ে গেলও ভারী বৃষ্টির দেখা নেই। তাই জমিতে আউশ রোপণ করতে পারেননি অধিকাংশ কৃষক ।
এবিষয়ে কৃষক আমির আলী জানান, বীজতলার বীজের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে, চারা রোপণ না হলে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাবে। সে বীজ ক্ষেতে রোপণ করলে ধানের ফল একেবারে হবে না। জমিতে পানি না থাকায় চারা রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করা যাচ্ছেনা। সে ক্ষেত্রে লোকসান গুনতে হতে পারে। আবার অনেকেই হালকা বৃষ্টিতে আউশ ধানের চারা রোপণ করলেও তীব্র তাপদাহে এখন তা পুড়ে যাচ্ছে।
সরকারি সুইচ গেইট ভালো না থাকায় আরও সমস্যা হচ্ছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন বলেন যে, আউশ ধান চাষে কৃষকদের উৎসাহী করতে ও আউশ ধানের চাষাবাদ বৃদ্ধির জন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা ও ভর্তুকি প্রদান করছে।
এবছর আমাদের উপজেলায় আউশ ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১২৭৭০ হেক্টর এখন পর্যন্ত যে অবস্থা যদি বৃষ্টিপাত না হয় তাহলে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ব্যহত হবে। আমরা স্থানীয় কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি যদি দু’তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাত না হয় তাহলে নিজস্ব ব্যবস্থায় সেচ দিয়ে যেন আউশের চারা রোপণ করেন।