রাসেল আহমদ (গোলাপগঞ্জ সিলেট) প্রতিনিধি।।
গোলাপগঞ্জে ময়লা-আবর্জনার পানি বাড়িতে ছাড়ার প্রতিবাদ করায় মিনা বেগম (৫০) নামে এক বৃদ্ধাকে কিল-ঘুষি, লাথি মারিয়া আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে আহত বৃদ্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
শুক্রবার (২ এপ্রিল) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার ফুলবাড়ি পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
আহত মিনা বেগম ফুলবাড়ি পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ আলীর স্ত্রী।
এ ঘটনায় আহত বৃদ্ধার ছেলে শাহেদ আহমদ (৩১) বাদি হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন৷
অভিযুক্তরা হলেন- পাশের বাড়ির কুদ্দুস আলীর ছেলে মন্দাই মিয়া (২০) ও শিপলু (২২), মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে আজির (৩৫), হাসিব উদ্দিনের ছেলে শামিম (৩২) ও রাহিম (৩৫) ও তাহির আলীর ছেলে তম (১৮)।
অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, বিবাদিদের বাড়ি বাদি পক্ষের বাড়ি থেকে কিছুটা উপরে হওয়ায় প্রায় সময় তারা বাড়ির ময়লা-আবর্জনার পানি তাদের বাড়ির দিকে ছেড়ে দেন। এ নিয়ে কয়েকবার স্থানীয় শালিস বসলেও এর কোন সমাধান হয়নি। এ বিষয়ে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন শাহেদ আহমদ। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলেও এর কোন সমাধান হয়নি। ময়লা-আবর্জনার পানি বাড়িতে ছাড়লে বিবাদিদের নিষেধ করলে তারা গালিগালাজ করে থাকে।
আজ শুক্রবার বিবাদিরা বাথরুমের ময়লার পানি ছাড়ায় আহত মিনা বেগম দেখে ১ ও ২ নং বিবাদিকে ডাকিয়ে বাথরুমের পানি বন্ধ করতে বলেন৷ এসময় তারা বন্ধ করবে না বলে গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে বিবাদিরা মিনা বেগমকে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি, লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন অংশে লিলা-ফুলা জখম করে। পরে তারা মিনা বেগমকে প্রাণে হত্যার হুমকি প্রদান করে। এসময় মিনা বেগমের চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন বলে জানা যায়।
এবিষয়ে বিবাদি মন্দাই মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাদি পক্ষের এ ধরণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বৃষ্টির পানি তাদের বাড়ির দিকে গেছে। কোন ময়লা-আবর্জনার পানি ছাড়া হয়নি। মিনা বেগমকেও আমরা মারিনি।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।