সিলেট প্রতিনিধি।।
গোলাপগঞ্জের বাদেপাশা ইউনিয়নের উওর আলমপুরে গ্রামে ছিনতাইয়ের অভিযোগে যুবককে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশকে ধাওয়া করে কয়েকজন যুবক।এসময় তারা গ্রেপ্তারকৃত যুবককে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার ১২ই ফেব্রুয়ারী রাত ৮ টার দিকে।পুলিশ সুত্রে জানা যায় যে, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে উত্তর আলমপুর গ্রামের সমিরণ চন্দ্র দাসের ছেলে সৈকত চন্দ্র দাসের হাত-পা বেধে ছিনতাইকারী চক্র তার সাথে থাকা মোবাইল টাকা-পয়সা নিয়ে যায়। এঘটনায় অজ্ঞাত নামীয় ব্যক্তিদের আসামি করে ভুক্তভোগী সৈকত চন্দ্র দাস কুশিয়ারা পুলিশ ফাঁড়িতে একটি অভিযোগ দায়ের করে৷ এরপর গত কয়েকদিন আগে একই গ্রামের পংকি মিয়ার ছেলে রেদওয়ান আহমদ একটি মোবাইল বিক্রি করতে চাইলে সৈকতের ছিনতাইকৃত মোবাইলের সাথে মিলে যায়। এর পরিপেক্ষিতে গত শুক্রবার এলাকাবাসীকে নিয়ে পুলিশ বসে তাকে জিজ্ঞেসাবাদে সন্দেহ হলে রেদওয়ান আহমদকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় নৌকায় উঠা মাত্র তার পক্ষ নিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এলাকার কয়েকজন যুবক। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েকজন যুবক রাতের অন্ধকারে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।
এঘটনাটির সুত্র ধরে একটি চক্র উত্তর আলমপুর গ্রামের মৃত আপ্তাব আলীর ছেলে মিছবাহ উদ্দিন ও তার ভার হাফিজ আফছার উদ্দিন,মৃত দুদু মিয়ার ছেলে মাতাব উদ্দিন,আব্দুস সোবহানের ছেলে মেম্বার পদপ্রার্থী জুবের আহমদ, আব্দুল খালিকের ছেলে জামিল হোসেন, আব্দুল মতিনের ছেলে আশু মিয়াকে কেন্দ্র করে একটি কতিপয় চক্র বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে Cnbangla,Gvoice,Sylhetsomoytv ইত্যাদিতে বিভিন্ন মিথ্যা ও যড়যন্ত্রমূলক তথ্য প্রকাশ করে আসছে৷ অনলাইন পোর্টালে দেখা গেছে স্থানীয় মেম্বার বুরহান উদ্দিন বলেন এ বিষয়ে তিনি অবগত। তাছাড়া মেম্বার পদপ্রার্থী জুবের আহমদ তিনি স্থানীয় মেম্বার বুরহান উদ্দিনকে ফোন দেন, তিনি জানান এবিষয়ে তিনি অবগত নয়, যার রেকর্ড আমার কাছে আছে। যেসব মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে আসছে যা তাদের জন্য মানহানিকর।
স্থানীয় মেম্বার পদপ্রাথী জুবের আহমদ বলেন যে, যেসময় ঘটনাটি ঘটে আমি যেখানে উপস্থিত ছিলাম না, তাছাড়া জামিল হোসেন,আশু মিয়া, মাতাব উদ্দিন, মিছবাহ উদ্দিন, হাফিজ আফছার উদ্দিন যেখানে উপস্থিত ছিলেন না তারা ঐবিষয়ে জড়িত নয়। একটি সন্ত্রাসী ও কতিপয় চক্র আমাদের বিভিন্ন অপপ্রচার করে আসছে৷ আমি এ মিথ্যা ও যড়যন্ত্রমূলক তথ্য বিরুদ্ধে তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।