আলোরদেশ নিউজ ডেস্ক।। ডাঃ জাফরুল্লাহ বলছেন প্রথম টিকা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া উচিত। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের উপহার হিসেবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকার ২০ লাখ ডোজ
আজ বৃহস্পতিবার (২১শে জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকায় পৌঁছাবে। ইতোমধ্যে উপহারের টিকা নিয়ে রওনা হয়েছে এয়ারইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট। চিকিৎসক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সাংবাদিকদের মধ্য থেকে ২০ থেকে ২৫ জনকে প্রথমে টিকা দেওয়া হবে।
করোনাভাইরাসের প্রথম টিকা জনসমক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেওয়া উচিত বলে মনে করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গতকাল বুধবার (২০শে জানুয়ারি) বিকেলে তিনি একথা বলেন। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন যে, টিকার ক্ষেত্রে প্রথম টিকাটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী পাবলিকলি টেলিভিশনের সামনে টিকা নিলে লোকের আস্থা জন্মাবে। পাশাপাশি প্রত্যেক মন্ত্রীর জেলা শহরে গিয়ে
সবার আগে টিকা নেওয়া উচিত। তাহলে লোকের আস্থা জন্মাবে। টিকাগ্রহণের ক্ষেত্রে যে অগ্রাধিকার জনগোষ্ঠীকে দেয়া হউক। তা ঠিকই আছে বলেও তিনি মনে করেন।
তবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই টিকা ভারতে ব্যাপকহারে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভারতে এর ফল কী আসে তা দেখার জন্য ১৫ দিন অপেক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অণুজীববিজ্ঞানী, সার্সভাইরাসের কিট উদ্ভাবক ও করোনাভাইরাস শনাক্তের ‘জি র্যাপিড ডট ব্লট’ কিট উদ্ভাবক ড. বিজন কুমার শীল। এবিষয়ে ড. বিজন কুমার শীল বলেন যে, এই টিকা ভারতে ব্যাপকহারে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের দেশের মানুষ ভারতের ফলটা দেখতে পারে। ভারতে টিকার প্রভাব ভালো হলে সবার দুশ্চিন্তা চলে যাবে। কারণ ভারত ও বাংলাদেশের মানুষ একই রকম। সুতরাং সেখানে যে ফল আসবে সেটা বাংলাদেশেও আসবে আশা করি।
তিনি আরও বলেন যে, অন্ততপক্ষে আরও ১৫ দিন দেখা উচিত আমাদের। ভারতের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, এর যদি প্রতিক্রিয়া হয়, তাহলে এর মধ্যেই হয়ে যাবে। তখন মানুষের প্রশ্ন কম থাকবে। তাছাড়া বাংলাদেশে ভ্যাকসিন আসা মানেই দেওয়া না। টিকা আসার পর সেটআপ করতেও সময় লাগবে। কাকে টিকা দেবে তাদের নির্বাচন করা, যারা টিকা দেবে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এসব করতে দুই সপ্তাহ সময় লেগে যাবে। দুই সপ্তাহের মধ্যেই ভারতের পরিস্থিতি সহজেই বোঝা যাবে।