1. mumin.2780@gmail.com : admin : Muminul Islam
  2. Amenulislam41@gmail.com : Amenul :
  3. smking63568@gmail.com : S.M Alamgir Hossain : S.M Alamgir Hossain
পাত্রখোলা চা বাগানে হতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ - আলোরদেশ২৪

পাত্রখোলা চা বাগানে হতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ

  • প্রকাশিত : রবিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৭৭৮ বার দেখা হয়েছে

পাত্রখোলা থেকে ঘুরে এসে, বিশেষ প্রতিনিধি।।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচিত পঞ্চায়েত সভাপতির উপর হামলা, বাগানের নিরীহ শ্রমিকদের উপর উপর একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানী, নির্বাচিত পঞ্চায়েত কমিটি বিদ্যমান থাকার পরও ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থে হামলা কারীদের দিয়ে মনগড়া কমিটি গঠন করে নিজ খেয়াল খুশী মতো বাগান পরিচালনা, বে-আইনীভাবে গঠিত অবৈধ কমিটির সদস্যদের অতিরিক্ত সুযোগসুবিধা প্রদান, নির্বাচিত পঞ্চায়েত কমিটিকে বাগান কার্যালয়ে ঢুকতে না দেওয়া, সাধারণ চা-শ্রমিকদের তাদের ন্যায্য অধিকার হইতে বঞ্চিত করিয়া রাখা ইত্যাদি নানাবিধ কারণে ফুঁসে উঠেছেন কমলগঞ্জের পাত্রখোলা চা-বাগানের শ্রমিকরা। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী শ্রমিকরা বিগত ২৮শে ডিসেম্বর /২০২০ইং সালে শ্রম অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক বরাবরে এক লিখিত অভিযোগ প্রেরণের মাধ্যমে আশু প্রতিকার দাবী করেছেন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, বিগত ২০১৮ইং সালের ২লা জুনের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তার নিকটতম প্রার্থী দুলাল ছত্রীকে পরাজিত করে বিজয়ী হন বর্তমান সভাপতি দেবাশীষ চক্রবর্তী শিপন। নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার জের হিসাবে নির্বাচনের পর হইতে নানা রকমের ষড়যন্ত্রে জাল বুনতে শুরু করেন পরাজিত প্রার্থী দুলাল ছত্রী ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা।
সর্ব প্রথম তারা তাদের ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটায় বিগত ২০১৯ইং সালের ২০শে মে পাত্রখোলা চা-বাগান কার্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় নির্বাচিত পঞ্চায়েত সভাপতির উপর দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালানোর মাধ্যমে। অতর্কিত এ আক্রমনে পঞ্চায়েত সভাপতি প্রাণে রক্ষা পেলেও তিনি রক্তাক্ত জখম হন। তখন তাকে রক্ষা করতে গিয়ে আহত হন পঞ্চায়েত কমিটির বেশক‘জন শ্রমিকনেতাও। সেদিন তাদের সাথে আহত হয়েছিলেন বেশ ক‘জন নিরীহ শ্রমিকও। তাদের জখম এতই মারাত্মক ছিল যে, তাদেরকে চিকিৎসা নিতে কমলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্ত্তি হতে হয়েছিল।
এঘটনায় তখন বাগানে যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল তা নিয়ন্ত্রন করতে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোঃ আরিফুর রহমান ও শ্রীমঙ্গল- কমলগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশসুপার জনাব আশরাফুজ্জামানকে ঘটনাস্থলে যেতে হয়েছিল।
অতঃপর বিগত ২০১৯ইং সালের ১৯শে জুলাই আরেক দফা হামলার শিকার হন পঞ্চায়েত সভাপতি। গভীর রাতে পঞ্চায়েত সভাপতির বাসায় দুলাল ছত্রী ও তার দলবল দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় তাদের আর্ত চিৎকার শুনে সভাপতির প্রতিবেশী মোহন লাল বাউরী ছুটে আসলে তিনি সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে রক্তাক্ত জখম হন। এভাবে একর পর এক সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটতে থাকায় চা-বাগানের সাধারণ শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে বিগত ২০১৯ইং সালের ১৬ই জুলাই ও ৮ই সেপ্টেম্বর শ্রীমঙ্গলস্থ শ্রম অধিদপ্তরের উপ পরিচালকের কার্যাালয়ে ২দফা ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমঝোতার ভিত্তিতে বিষয়টির আপোষ নিষ্পত্তির প্রচেষ্টা চালানো হয়। পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি দেবাশীষ চক্রবর্তী শিপনের উপর দুলাল ছত্রীগনের আনীত বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত না হওয়ায় বৈঠকে উপস্থিত সালিশদারগন দুই পক্ষকে শান্তিপূর্ণ সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টির আপোষ নিষ্পত্তির প্রচেষ্টা চালান। কিন্তু দুলাল ছত্রীগং এর উশৃংখল আচরণের কারণে উপস্থিত সালিশদারগন সমঝোতা বৈঠক স্থগিত ঘোষণা করতে বাধ্য হন।
এখানেই শেষ নয় এভাবে একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে বাগানে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে রেখেছে দুলাল ছত্রী ও তার সহযোগী শ্যামল বড়াইক, কমল বড়াইক, মফিজ মিয়া, চঞ্চল বাউরী, জাফর মিয়া, রহমত মিয়া, গোপাল কুর্মী,স্বপন বাউরী সহ অপরা পর দাঙ্গাবাজরা। সর্বশেষ গত ১৪ই অক্টোবর দুুলাল ছত্রীগংদের অপকর্মের প্রতিবাদ করায় দু-জন শ্রমিক নেতা রবিমুন্ডা ও মুন্নাদাসকে তাদের হাতে হতে হয় নির্যাাতিত । সন্ত্রাসী কায়দায় নির্যাতনের পর এই দুই শ্রমিক নেতাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় চা-বাগান অফিসে। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানাপুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে এই দুই শ্রমিক নেতাকে উদ্ধার করে। এভাবে যে বিরুদ্ধে কথা বলছে তাকেই হেনস্তা ও লাঞ্চিত হতে হচ্ছে দুলাল ছত্রী ও তার সহযোগীরদের হাতে। তারা সশস্ত্র প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বিগত ২০ মাস ধরে বাগান পঞ্চায়েত সভাপতিকে চা-বাগান কার্য্যালয়ে ঢুকতে দিচ্ছেনা। পঞ্চায়েত কমিটির অনুসারীদের কর্মক্ষেত্র থেকে অপসারণ, চিকিৎসা ও গৃহায়নের ন্যায়সংগত সুবিধা প্রদান না করা ,বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়া সহ নানাভাবে হয়রানীর পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে নানা রকমের কুট কৌশলী পরিকল্পনা প্রনয়ন করে সাধারণ চা শ্রমিকদেরও প্রতিনিয়ত হয়রানী করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত সভাপতি সাধারণ শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বাগান ম্যানেজেম্যান্টের সাথে কথা বলার সুযোগ না পাওয়ার কারনে সাধারণ শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
ভুক্তভোগী শ্রমিকদের অভিযোগ সাধারণ শ্রমিকদের অভিযোগ এসব কিছুই ঘটছে বাগান ব্যবস্থাপক ও বি,এন,পি পন্থী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের অদৃশ্য মদদে। সাধারণ চা শ্রমিদের অভিযোগ বাগান ব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান মুন্না এই সন্ত্রাসী গ্রæপকে অবৈধ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে ও নিজের পছন্দসই লোকদের দিয়ে মনগড়া বে আইনী কমিটি গঠন করে নিজ খেয়াল খুশি মতো বাগান পরিচালনা করছেন ।
তাদের মতে বিগত ২০ মাস ধরে দুলাল ছত্রী ও তার সহযোগীরা পাত্রখোলা চা বাগানে যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে রেখেছে তাতে সাধারণ চা- শ্রমিকদের মধ্যে ক্রমশঃ অসন্তোষের দানা বাধতে শুরু হয়েছে তা যে কোন মুহুর্ত্তে প্রকাশ্যে রক্তক্ষী সংঘর্ষের রুপ নিতে পারে। তাই বড়ধরনের কোন অঘটন ঘটনার পূর্বেই বিদ্যমান সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশুপদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করেন। অভিযোগের বিষযটি সম্পর্কে জানতে গত ৩০শে ডিসেম্বর বাগান ব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান মুন্নার মুখোমুখি হলে এনটিসি‘র উর্দ্ধতন কর্মকর্তার অনুমতি ব্যাতিরেকে কোন কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। তবে দুলাল ছত্রী তার উপর আনীত হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন এলাকার কিছু দুষ্কৃতিকারী তার ব্যক্তিগত সুনাম নষ্ট করতে এলাকায় তার বিরুদ্ধে নানা কুৎসা রটনা করছে। তবে সেই দুস্কৃতিকারীরা কারা জানতে চাইলে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

শেয়ার..

আরো সংবাদ পড়ুন...
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | আলোর দেশ ২৪ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Developed By Radwan Ahmed