1. mumin.2780@gmail.com : admin : Muminul Islam
  2. Amenulislam41@gmail.com : Amenul :
  3. smking63568@gmail.com : S.M Alamgir Hossain : S.M Alamgir Hossain
নির্বাচনী প্রচারনায় উত্তাল কমলগঞ্জ পৌরসভা - আলোরদেশ২৪

নির্বাচনী প্রচারনায় উত্তাল কমলগঞ্জ পৌরসভা

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৮৭০ বার দেখা হয়েছে

আগামী ১৬ই জানুয়ারী ২০২১ নির্বাচনে কে হচ্ছেন পৌর মেয়র।

নিজস্ব প্রতিবেদন।।

মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২০শে ডিসেম্বর ও বাছাই ২২শে ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৯শে ডিসেম্বর। ভোটগ্রহণ ১৬ই জানুয়ারি ২০২১ইং। তবে কমলগঞ্জ পৌরসভায় ভোট হবে ব্যালেটে।

তবে তফসিল ঘোষণার পর থেকে করোনার (২য় টেউ) ঝুঁকি ও তীব্র শীতের মধ্যে ও দিবারাত্রি সমান তালে প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটে চলেছেন। ভোটারদের মন জয় করতে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি তার সাথে সাথে শুনাচ্ছেন শত আশার বাণী। কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরা তারাও বসেনেই নির্বাচনী প্রচারনায় ব্যাস্ত।
বিত্রনপি তাদের দল থেকে একজন প্রার্থী চূড়ান্ত করেছেন। আওয়ামী লীগ এখনও প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন আদায় করতে ৩জন প্রার্থী জোর তৎপরতা ও লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন।

২০১৫ইং সালের পৌরসভা নির্বাচনে দেশে প্রথম বারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্টিত হয়েছিল। তাই মূল নির্বাচনের পূর্বেই দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য সাম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের দলের মধ্যে লড়াই করে প্রার্থী হতে হবে। তফসিল ঘোষণার পর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রার্থীরা প্রচারণায় নেমে পড়েছেন।

ইতোমধ্যে পৌর এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে পোষ্টার, টাঙিয়ে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশী দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রার্থী ও তার সমর্থকরা ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নানা লেখা শুরু করেছেন। শুধু তাই নয়, হাট-বাজারে, গ্রামের বিভিন্ন দোকানে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

সম্ভাব্য প্রার্থীরা একদিকে যেমন এখন থেকেই গ্রামে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, মসজিদে ও বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে যোগদানের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন। পৃথক-পৃথকভাবে গ্রামের পাড়ায়-পাড়ায় উঠান বৈঠক চলছে।

অন্যদিকে দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে ঘুরাঘুরি ও দৌড়ঝাঁপ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা ভোটের আগেই দলীয় মনোনয়ন পাওয়াকেই বেশি প্রধান্য দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের মত বিএনপির প্রার্থীর দৌড়ঝাঁপ অনেক কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মামলা-হামলার ভয়ে গোপনে ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে গিয়ে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা চলিয়ে যাচ্ছেন। বিত্রনপি সূত্র বলেছে, কৌশলগত কারণেই প্রকাশ্যে প্রচারণা করছে না বিএনপি। 

সর্বশেষ কমলগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্টিত হয়েছিল ২০১৫ইং সালের ৩১ডিসেম্বর। তখন পৌর চেয়ারম্যান পদ-প্রার্থী হয়েছিলেন ৭জন। প্রথমবারের মতো তরুণ প্রার্থী জুয়েল আহমেদ (নৌকা প্রতিক) নিয়ে ৩৯৯০ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন এবং কমলগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী মেয়র পদটি দখলে নেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দি স্বতন্ত্র প্রার্র্থী জাকারিয়া হাবিব বিপ্লব (তালগাছ) ২৮০৪ভোট ও বিএনপি’র প্রার্থী আবু ইব্রাহিম জমসেদ (ধানের শীষ) ২১৩৩ভোট। অপরদিকে বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী হাছিন আফরোজ চৌধুরী (জগ) ৪২৬ভোট, রফিকুল আলম (লাঙ্গল) ৮০ভোট, নজরুল ইসলাম ৮০ভোট  এবং মাসুক আহমদ (মোবাইল)২৩ভোট পেয়েছিলেন। 

এবার ২০২১ইং সালের নির্বাচনে কমলগঞ্জ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ভোটার হচ্ছেন ১৫হাজার ২০৩জন। তন্মধ্যে পুরুষ ৭৬০০এবং মহিলা ৭৬০৩জন।

ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবারও কমলগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কমলগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে এক প্রকার প্রকাশ্যই বিরোধ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাই নির্বাচনে যদি এককভাবে প্রার্থীতা মনোনয়ন দেয়া না যায় তাহলে যে কেউ ভোটে বিজয়ের মালা পড়তে পারে। 

এবারের কমলগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেলেও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ গ্রহণ করতে পারেন। কমলগঞ্জ পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে ৩জন ও বিএনপির ১জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন বলে শুনা যাচ্ছে। জাতীয় পার্টির তৎপরতা এখনও চোখে পড়েনি।

ইতোমধ্যে প্রার্থীতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং নির্বাচনী মাঠে কাজ করছেন তারা হলেন- বর্তমান পৌর মেয়র, কমলগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক  জুয়েল আহমদ, কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগের সাবেক সফল  সভাপতি ও তিনবারের নির্বাচিত পৌর কাউন্সিলর মো. আনোয়ার হোসেন, কমলগঞ্জ উপজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ও ঠিকাদার মো. হেলাল মিয়া।

অপরদিকে বিএনপি থেকে প্রার্থী হিসাবে মাঠে কাজ করছেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির সাবেক উপজেলা সাধারণ সম্পাদক  আবুল হোসেন। তারা ইতোমধ্যেই নানান প্রতিশ্রুতি নিয়ে আগে ভাগেই ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের কার্যক্রম শুরু করেছেন। 

আলাপকালে বর্তমান পৌর মেয়র জুয়েল আহমদ বলেন যে, বিগত নির্বাচনের সময় আমি ভোটারদের কাছে যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তার সিংহভাগই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। মানুষের চাহিদার কারণে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। আশাকরি ভোটাররা অবশ্যই বিগত দিনের আমার কাজের মূল্যায়ন করে পুণরায় নির্বাচিত করে তাদের সেবা করার সুযোগ করে দিবেন। 

অপর প্রার্থী কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক সফল সভাপতি ছিলেন, বর্তমান জেলা যুবলীগের সহসভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর মো. আনোয়ার হোসেন বলেন যে, গত নির্বাচনেও আমি মেয়র পদে প্রার্থী ছিলাম। শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আশ্বাস দিয়েছিলেন পরবর্তী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করার জন্য। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করে মানুষের কাছে আছি। তাই মানুষের সেবা করার জন্য প্রার্থী হতে যাচ্ছি। 

ঠিকাদার হেলাল মিয়া বলেন যে, আমিও অনেকদিন ধরেই মানুষের সেবায় কাজ করে যাচ্ছি। আরো ব্যাপকভাবে মানুষের সেবা করার জন্য নির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছি। আশাকরি ভোটাররা আমাকে বিজয়ী করবেন ইনশাআল্লাহ । 

অপর প্রার্থী বিএনপি নেতা আবুল হোসেন বলেন যে, এই পৌরসভায় বিএনপির প্রচুর সমর্থক ও ভোটার রয়েছেন। তারা আওয়ামী দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে চায়।আশাকরি সুষ্টু নির্বচন হলে ইনশাআল্লাহ আমিই জয়ি হবো।

শেয়ার..

আরো সংবাদ পড়ুন...
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | আলোর দেশ ২৪ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Developed By Radwan Ahmed