সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।।
সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে মেঘালয় পাহাড় থেকে ৩০টিরও বেশি পাহাড়ি ঝরনার স্রোতধারা গিয়ে মিশেছে তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরে। প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত এলাকা জুড়ে এর অবস্থান। টাংঙ্গুয়ার হাওরকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠা পানির জলাভূমি বলা হয়ে থাকে।
স্থানীয়দের কাছে হাওরটি নয়কুড়ি কান্দার ছয়কুড়ি বিল নামেও পরিচিত। সুদূর সাইবেরিয়া থেকে আগত পরিযায়ী পাখিরা আসতে শুরু করেছে বর্তমান সময়ে টাংঙ্গুয়া হাওরে।
হাওর বাওড় ও খাল-বিল ও পরীযায়ী পাখিদের সমাগমে মুখর হয়ে উঠেছে টাংঙ্গুয়ার হাওরের পরিবেশ সেই প্রকৃতি সাজিয়েছে নানারুপে। দেশের দ্বিতীয় এ রামসার সাইটের সৌন্দর্য অবলোকন করতে প্রতিদিন-ই দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা এখানে ঘুরতে আসেন। হাওরের বিস্তৃত সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকদের জন্য এখানে একটি পর্যবেক্ষণ (ওয়াচ) টাওয়ার নির্মাণ করে বন বিভাগ। অব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং এর অভাবে যা বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে এ ওয়াচ টাওয়াটি।
এ নিয়ে গত দুই বছর ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ ওয়াচ-টাওয়ারটি সংস্কারে এখনও পর্যন্ত কোন কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি ।
সূত্রে জানাযায় টাঙ্গুয়ার হাওরের গোলাবাড়ি এলাকায় ২০১৪ সালে বন বিভাগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দরপত্র আহ্বান করে তাদের তত্ত্বাবধানে ওয়াচ-টাওয়ারটি নির্মাণ করা হয়। উচ্চতা প্রায় ৪০ ফুট। টাংঙ্গুয়ার হাওরের প্রবেশ মুখের একটি জায়গায় গোলাবাড়ির হিজল বনের পাশেই পর্যটকদের জন্য নির্মাণ করা হয় এ পর্যবেক্ষণ টাওয়ারটি। টাওয়ারে দাড়িয়ে উত্তরে তাকালেই দেখা যায় ভারতের মেঘালয় পাহাড়। এই টাওয়ার থেকে হাওরের বিস্তৃত সৌন্দর্যের দেখা মিলে।
কিন্তু টাওয়ারে ওঠার মুখে পাকা সিঁড়ির কিছু অংশ ভেঙে যেতে দেখা গেছে। দুই পাশে স্টিলের রেলিং ছিল।এখন মাঝখানে রেলিংও নেই। টাওয়ারের একেবারে ওপরে যেখানে দাঁড়িয়ে পর্যটকরা হাওর দেখবে সেখানের চারদিকের স্টিলের রেলিং অনেক আগেই চুরি হয়ে গেছে। যার কারনে ওপর থেকে লোকজন যেকোন সময় পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য টাওয়ারে ওঠা এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা, জয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, পর্যবেক্ষণ টাওয়ারটির উপরের রেলিং ২-৩ বছর আগেই চুরি হয়ে গেছে। বর্তমানে টাওয়ারটি ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বর্ষায় হাওরের পানিতে টাওয়ারটির ঝুঁকির মাত্রা আরও বেড়ে যায়। রেলিং না থাকায় অসাবধানতার জন্য যেকোন সময় অনাকাংখিত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এ প্রসঙ্গে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো.রেজাউল করিম চৌধুরী এ বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে অচিরেই সংস্কারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।