নিজস্ব প্রতিবেদক।।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ওয়াহিদ সিদ্দেক উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষিকা সুলতানা বেগম (৩০) না ফেরার দেশে চলে গেলেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
(সুলতানা বেগমের জন্ম—০১.০১.১৯৮৬) ১৯৮৬ সালে কমলগঞ্জ বিন্দাবনপুর গ্রামে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবা মৃত তাহির মিয়া।
মা- লুৎফুন নাহার। সুলতানা বেগম বাবা মার একমাত্র আদরের মেয়ে ছিলেন।
তারা এক ভাই এক বোন।
সুলতানা বেগম প্রথমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দিয়ে তার শিক্ষাজীবন শুরু করেন। তার পর বিন্দাবনপুর আবুল ফজল থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পিছনে আর তাকে তাকাতে হয়নি।
এস.এস.সি ১ম, ২০০১ সালে।
এইচ.এস.সি ৩য়, ২০০৪ সালে।
বি এস. সি ২য়, ২০০৮ সালে।
বি এড. ২য় ২০১৬ সালে। উত্তীর্ণ হন।
সুলতানা বেগমের কর্ম জীবন— ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করেন। ওয়াহিদ সিদ্দেক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম চৌধুরী সার্বিক সহযোগিতায় শিক্ষকতায় যোগ দেন। ২০১২ সাল থেকে শুরু করে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রায় ৮ বছর শিক্ষকতা করেন সুলতানা বেগম।
বিবাহ কাল— সুলতানা বেগম ২০১৭ সালে বিয়ের পিরিতে বসেন। স্বামী মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের (৩৫) সাথে পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিয়ের পিরিতে বসেন৷ তাদের ৩ বছর সংসারে কোনো সন্তান হয় নি।
সুলতানা বেগম গত কয়েকমাস যাবত কিডনি জনিত রোগ ও লান্সে জটিল রোগে আক্রান্ত হলে ২০ নভেম্বর রাকিব রাবেয়া হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।
তারপর অবস্থার অবনতি হলে আইসিওতে রাখা হয়। অবশেষে মহান মালিকে ডাকে সাড়া দিয়ে ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার মায়া ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন । সুলতানা বেগম তার স্বামীর বাড়িতে অসংখ্য মানুষের অশ্রুসিক্ততে সমাহিত হন।